অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা অল্প পড়াশোনা করে পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। আবার অনেক শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভাবে পড়াশোনা করেও কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়। তবে একটি সুন্দর পরীক্ষা প্রস্তুতি ভালো ফলাফল অর্জনে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে, অগোছালো পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রত্যাশানুরূপ ফলাফল দিতে পারেনা। তাই এই ব্লগে খুব সহজে অল্প সময়ের ভিতর ভালো ফলাফল করার মত পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেয়া যায় তা নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো।



  • দৃঢ় পরিকল্পনা করা

কোন কিছু করার শক্তিশালী মনোবল না থাকলে তা কোনোভাবে সম্পন্ন করা যায় না। যদি কোন কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। অন্যথায় যদি কোন কিছু করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে অজুহাত খুঁজে পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই একটি দৃঢ় পরিকল্পনা করতে হবে।


  • সাজেশন্স অনুসরণ করা

যে সকল প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে সে প্রশ্নের উত্তরগুলো পড়ে নিতে হবে। বাজারে বিভিন্ন পরীক্ষার আলাদা আলাদা প্রচুর সাজেশন বই পাওয়া যায়। যা পূর্ববর্তী বোর্ডগুলোর প্রশ্নকে গবেষণা করে তৈরি করা হয়। সবার কাছে যে সাজেশনটা বেশি রেকমেন্ডেড সেটাই নেওয়া উচিত।


  • অধ্যায়নের জন্য সময়সূচী নির্ধারণ

সুসংগঠিত অধ্যয়নের সময়সূচী মুখ্য ভূমিকা পালন করে যখন সময় সীমিত। প্রতিটি আলাদা আলাদা বিষয় এর জন্য সময় নির্ধারন করে নেওয়া উচিত। এতে সকল বিষয়গুলোর উপর একসাথে প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তাছাড়া নিজের কাছে যেসব বিষয়গুলো একটু কঠিন মনে হয় সেগুলোকে কিছুটা সময় বেশি বরাদ্দ করা উচিত।


  • নোট করা

পড়ার পাশাপাশি নোট করলে তা মানুষের স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। আমরা যা অধ্যয়ন করি তা স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী হওয়া প্রয়োজন। আমরা যা অধ্যয়ন করি তা যদি মনেই না রাখতে পারি তবে তাতে কোন ফায়দা নেই। তাই অবশ্যই নোট করা প্রয়োজন।


  • নিজেকে সক্রিয় রাখা

কোন অবস্থাতেই নিজেকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। সম্পূর্ণ মনোযোগ পড়াশোনার দিকে রাখতে হবে। কিছু কিছু জিনিস আমাদেরকে পড়াশোনা থেকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে, যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেওয়া, ইন্টারনেটে ভিডিও দেখা ইত্যাদি। তো যেসব কর্মকাণ্ডগুলি আমাদেরকে নিষ্ক্রিয় করতে সহায়তা করে সেগুলোকে খুব সচেতনতার সাথে বিরত থাকতে হবে।


  • অনলাইন সোর্স গুলোকে কাজে লাগানো

ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষা সংক্রান্ত কনটেন্ট পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে কোন শিক্ষকের সহায়তা ছাড়াই যেকোনো সময় শেখা যায়। এ সমস্ত ইন্টারনেটের সোর্স গুলোকে কাজে লাগালে, আমরা সহজেই দক্ষ হয়ে উঠতে পারবো।


  • শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকা

স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকা অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকলে যেকোনো কাজ ভালোভাবে করা যায়। সুস্থ দেহ ও সতেজ মন নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য সময়মত খাবার ব্যায়াম ও খেলাধুলা প্রয়োজন।


  • মডেল টেস্ট করা

সকল গাইড বইগুলোতে মডেল প্রশ্ন দেওয়া থাকে। এই মডেল প্রশ্নগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজে নিজে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এতে করে নিজের পরীক্ষা প্রস্তুতির কোন ঘাটতি আছে কিনা জানা যায় এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।


  • রিভিশন করা

পূর্বে পড়া বা মুখস্ত করা উত্তরগুলো দৈনিক অন্তত একবার রিভিশন দেওয়া, এতে মনে রাখতে আরও সুবিধা হবে।


FAQ

পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় আমি কীভাবে আমার সময় কার্যকরিভাবে পরিচালনা করতে পারি?

কার্যকরি সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশুনার সময়সূচী সেট করুন, কাজগুলিকে অগ্রাধিকার দিন এবং বিভ্রান্তি দূর করুন। আপনার পড়াশোনার জন্য সর্বোচ্চ উপযুক্ত সময় সনাক্ত করুন এবং আরো ভালোভাবে অধ্যায়নের জন্য ফোকাস করুন।

পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনুশীলন কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

কোন কিছু আয়ত্ত্বের জন্য অনুশীলন অপরিহার্য। সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধানের উপায় বের করুন, মডেল টেস্ট নিন এবং অধ্যয়নে আরো মনোযোগী হন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url